নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগেঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় বেশ কিছু ককটেল, মারামারির কাজে ব্যবহৃত লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়। একই সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তিনিসহ (ওসি) বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে হামলাকারীরা। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক সিএনজিচালক নিহত হন। নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় আজ ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সংঘর্ষের কারণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বসুরহাটে। পৌরসভা এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার কারণে বাজারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম। বসুরহাট বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাটই বন্ধ। সাধারণ মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ