রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ বিকাশ খীসা। তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহারে অনিহা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছি না এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবনতার ফলে আমাদের এই করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ। শুধুমাত্র ভ্যাকসিন দিয়ে কোভিডকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তাই ভ্যাকসিন এর পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যবিধি ও মেনে চলতে হবে।

রবিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ বিকাশ খীসা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে মেনে চলার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা সাথে  নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তাগিদ দেন।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মামুন এর সঞ্চালনায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। এসময় সভায় জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, এলজিইডির জেলার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তালেব চৌধুরী,জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরেফিন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান শাহ, জেলার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ সহ জনপ্রতিনিধিগণ ও  জেলার সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে আমরা সবাই বৈচিত্রের মাঝে বসবাস করি। এটা সৃষ্টিকর্তার একটা আশীর্বাদ। আমরা যত বেশি বৈচিত্রের সাথে বসবাস করবো ততোবেশি আমাদের মধ্যে সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা, শান্তি। সুন্দর, সম্প্রীতি, উন্নত ও  শান্তির রাঙ্গামাটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই একসাথে কাজ করব।

সভায় শহরে মাত্রা অতিরিক্তভাবে মাইক বা শব্দ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীরা যাতে  ৯৯৯ এবং ১০৯ এই সেবামূলক নাম্বার গুলো সম্পর্কে জানতে পারে এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারে সেই লক্ষ্যে জেলার সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতামূলক ৯৯৯ এবং ১০৯ এর সচেতনতা মূলক স্টিকার বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।