স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মিটিং মিছিল করা মানুষের মৌলিক অধিকার। তবে হেফাজতের কর্মকান্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। আজ সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়। গত শনিবার ১৪ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শন করে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জুনায়েদ সাকী, রেজা কিবরিয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, রাষ্ট্র চিন্তার দিদারুল ভূইয়া, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমাতউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।
রেল স্টেশনে আগুনের ঘটনার ৭দিন পরও শনিবার আমরা সেখানে আগুন জ্বলতে দেখেছি, এটা কেন ? এই প্রশ্ন রেখে। ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে। জাফরুল্লাহ বলেন, ৭দিন পরও আগুন জ্বলছে, এটা কাকে দেখাতে চান? তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোন তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত।
রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদরে হাতে নেই উল্লেখ করে ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, সেখানকার এমপি একজন আমলা, তার কোন রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী। রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী সবার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তব তুলে ধরে বলেন, নিহত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই সব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।