কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে প্রভাষক আলী হোসেনের বিরুদ্ধে। বাগুলাট ইউনিয়নে হত্যাকান্ড, মারামারি এবং কোন্দল সৃষ্টির পেছনে সরাসরি তার জড়িত থাকার অভিযোক করছেন স্থানীয়রা। খুন-খারাবি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন বলেও জানা গেছে।

কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়ন, পান্টি ইউনিয়ন ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের একাংশ নিয়ে তিনি অপরাধের সম্রাজ্য গড়ে তুলে তুলেছেন। এসব এলাকায় মারামারি, হট্টগোল, হত্যা সহ নানা অপকর্মের সরাসরি ইন্ধনদাতা তিনি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

এক সময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতেন আলি হোসেন। ১৯৯০ সালে বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামাত দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওঃ সামসুদ্দিন আহমেদের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসর আলী হোসেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে আওয়ামীলীগ নেতা বনে যান। পদ-পদবী না থাকলে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অশান্ত করে তুলেছেন পুরো জনপদকে। এলাকার প্রত্যেকটি অপরাধে তিনি সরাসরি জড়িত।

বছর খানেক আগে বাশগ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আজম আলী নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়। সেই হত্যার এক নম্বর আসামি ছিলেন আলী হোসেন। যার মামলা নং- কুমারখালি জিআর ১০০/১৯। সেই মামলায় ১০ মাস ১১ দিন জেল হাজতও খেটেছেন আলী হোসেন। এ ছাড়াও গত কয়েক মাসের মধ্যে ভুড়ুয়া পাড়ায় পরপর দুটি মার্ডার হয়। সেই মার্ডারের সাথেও আলী জড়িত বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

গত কয়েক দিন আগে শালঘর মধুয়া গ্রামে মাঠের ভুট্টা ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ লাগে। এরপর গত ২৮ এপ্রিল সকালে প্রফেসর আলী হোসেনের নেতৃত্বে দুই গ্রুপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে অবস্থা বেগতিক হলে খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ, বাঁশগ্রাম গ্রাম পুলিশ ক্যাম্প ঘটনাস্থলে পৌছে  ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আলী আসামী রয়েছে। যার মামলা নং - কুমারখালি জিআর ৪০/২১।

বাগুলাট ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের দাবি, প্রশাসন কঠোর হস্তে আসল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যতায় আরও অনেক মায়ের বুক খালি হতে পারে।