নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে “জুনিয়র চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২১”। প্রতিযোগিতাটিতে শুধুমাত্র ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

গতকঅর শুক্রবার অনলাইন লিচেস প্ল্যাটফর্মে টুর্নামেন্টটির আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতাটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিক শাহরিয়ার রমিজ এবং প্রথম রানার আপ হয়েছেন জুওলজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাওসিফ মাহমুদ। তৃতীয় রবিউল হাসান, চতুর্থ জাকিয়া ইসলাম ও নুর ই ইলাহী পঞ্চম হয়েছেন।

উক্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচজনকে প্রাইজমানি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে এবং অংশগ্রহণকারী সকলেই পাবেন পার্টিসিপেশন সার্টিফিকেট। এছাড়াও খেলার ধরণ বিবেচনা করে ভালো ফলাফল করা বেশ কিছু অংশগ্রহণকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে কলমে দাবা শিখানো এবং ভালো খেলোয়াড়ে পরিণত করতে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে আতিক শাহরিয়ার রমিজ বলেন,  নোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মত অনলাইন জুনিয়র চেস চ্যাম্পিয়ানশিপ টুর্নামেন্টের সম্মানিত আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রথমবারের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন চেস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ভবিষ্যতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বড় বড় টুর্নামেন্টে ভালো দাবা খেলোয়াড় যাচাই বাছাই করতে নিয়মিত অনলাইন টুর্নামেন্টের জুড়ি নেই।

টুর্নামেন্টটির আয়োজক কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম হৃদয় জানান, জুনিয়রদের জন্য আলাদা করে কখনো দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। আমদের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছেন। কিন্তু আমরা চলে গেলেও যেনো জুনিয়ররা ঠিকভাবে হাল ধরতে পারে এমন ধারণা থেকেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজনের করা।

তিনি আরও বলেন, জুনিয়রদের ট্রেনিং দেয়ার মাধ্যমে ভালো দাবা খেলোয়াড় তৈরী করে নোবিপ্রবি দাবা টিমকে আরো শক্তিশালী করাটাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা অফিশিয়ালি নোবিপ্রবি দাবা ক্লাবের কার্যক্রম শুরু করবো। আশা করছি ভবিষ্যতে নোবিপ্রবির দাবা অনেক ভালো অবস্থানে যাবে।

উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতাটিতে ১৭ জন খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করেন এবং ১৬ জন অংশগ্রহণ করেন।