রাজশহী ব্যুরো : মহামারী নভেল করোনাভাইরাসে রাজশাহীতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ-রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে একদিনের ব্যবধানে মৃত্যু বেড়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন; আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬ জন, নাটোরের একজন, নওগাঁর ৩ জন এবং কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন এবং নওগাঁর একজন রোগী করোনা পজিটিভ ছিলেন।

রোববার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৩ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১২৪ জন। এর মধ্যে ৭০ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

এর মধ্যে ১ জুন, সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫, ১২ জুন ৪ জন এবং সর্বশেষ ১৩ জুন ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জন, নাটোরের ৩ জন, নওগাঁর ৫ জন। এনিয়ে মোট ভর্তি রোগী সংখ্যা ২৯৪ জন। অথচ শয্যা সংখ্যা ২৭১টি। অর্থাৎ ধারণ ক্ষমতার বেশি সংখ্যাক রোগী বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ১৩০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০৮ জন, নাটোরের ১৪ জন, নওগাঁর ২৮ জন, পাবনার চার জন, কুষ্টিয়ার একজন এবং অন্যান্য এলাকার ৯ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮ জন।

গতকাল রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় রাজশাহী জেলার নমুনায় শনাক্তের হার ছিলো ৫৩.৬৭ শতাংশ। নাটোর জেলার নমুনায় শনাক্তের হার ছিলো ১২.৬৭ শতাংশ। নওগাঁ জেলার নমুনায়  শনাক্তের হার ছিলো ৫০ শতাংশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নমুনায় শনাক্তের হার ছিলো ১৬.৪৬ শতাংশ।

এদিকে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী শহরে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। লকডাউনের কারণে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন চলছে না। রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত রয়েছে।