ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : এদের কারো বয়স ৬, আবার কারো ৯ বছর। তবে, একজনের একটু বেশি। কিন্তু এ বয়সেই সংসারের হাল কাঁধে টেনে নিয়েছে নিজেদের ঘাড়ে। মহামারী করোনার সময় থেকেই তারা মাক্স বিক্রি করে আসছেন ফরিদপুর সদর হাসপাতালের গেটে। এখনো অব্যাহত আছে তাদের মাস্ক বিক্রির কর্মকান্ড।
ফরিদপুর সদর হাসপাতাল গেটের সামনে গিয়ে দেখা যায় এখানে প্রতিদিনই আট দশজন নিয়মিত ভাবে মাক্স বিক্রি করেন।
সারাদিন যেটুকু আয় করেন তাই নিয়ে সংসার চালান তারা। শুধুমাত্র শুক্রবার বাদে অন্যান্য দিন তাদের হাঁকডাকে মুখরিত থাকে সদর হাসপাতালে এলাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানকার যে সমস্ত বাচ্চারা মাস্ক বিক্রি করেন। তারা বেশিরভাগই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এবং পরিবারের অভাবের কারণে পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই সংসার চালাচ্ছেন তারা।
তিনটি মাস্ক বিক্রি হয় ১০ টাকা আবার ৬ টি মাস্ক বিক্রি হয় ২০ টাকা। এভাবে মাস্ক বিক্রির টাকায় চলছে তাদের সংসার। তাদের আশাবাদ সরকার যদি তাদের সামান্য সহযোগিতা করত তাহলে তাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতো।
কেননা প্রতিদিন বেচাকিনা সমান হয় না তাই যেদিন বেচাকেনা কম হয় সেদিন তাদের দুঃখ দুর্দশার অন্ত থাকে না। থাকতে হয় অর্ধাহা, অনাহারে।