চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সংগীতালয়-এর বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় থিয়েটার ইনষ্টিটিউট, চট্টগ্রাম মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খেয়াল, নজরুল ও রবি ঠাকুরের গান, লোকসংগীত, দেশাত্মবোধক, আধুনিক গান সহ বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা তুলে ধরেন সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কন্ঠে বৃন্দাবনী সারেং রাগে সমবেত খেয়ালের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

এডভোকেট সন্জীবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন মাইজভান্ডারী গবেষক ও লেখক শাহেদ আলী চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের পরিচালক কন্ঠশিল্পী সুতপা চৌধুরী মুমু। মূল পর্বের শুরুতেই রবি ঠাকুরের ‘হা রে রে আমায় ছেড়ে দে রে’ গানে কন্ঠ মেলায় মৃত্তিকা, অরিন্দম, ওরিশা, সুকৃতি, নিভু, নবনিতা, প্রজ্ঞা, শ্রীনন্দা, উন্মেষ প্রমুখ। ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’ ছড়া গানে অংশ নেয় অরণ্য, নিঝুম, অংকিতা, তুষ্টি, অগ্নিলা, হুমাইরা, স্বত্যজী, সৌম্য, সালসাবিল,পরমা, চৈতি, সোহান, ইন্দ্রনীল প্রমুখ।

‘নাদের দে তা’ গানে অংশ নেয় শ্রীনন্দা, ঋজু, প্রজ্ঞা, মৃত্তিকা, চৈতি প্রমুখ। ররীন্দ্র সংগীত ‘এসো শ্যামল সুন্দর’ পরিবেশন করে তুষ্টি, ত্রিবেণী,জয়িতা,নিশা, জান্নাতুল, রিত্তিকা, ইসমাত, পুষ্পিতা, জান্নাতুল প্রমুখ। ‘সুরের এই ঝরঝর ঝরণা’ গানটি দ্বৈত কণ্ঠে গেয়ে শোনায় ত্রিবেণী পাল ও জয়িতা দত্ত। অনুষ্ঠানে ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যেজন’ ও তোমার ভুবনে ফুলের মেলায়’ পরিবেশন করে মুগ্ধতা জাগান প্রতিষ্ঠানের সংগীত প্রশিক্ষক, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সুতপা চৌধুরী মুমু। ‘আজ জীবন খুঁজে পাব’ সমবেত গানের সাথে নাঈমা ও জান্নাতুল মাওয়ার নৃত্য অনুষ্ঠানে আনে ভিন্ন আমেজ।

সর্বশেষ পরিবেশনায় সমবেত কন্ঠে একে একে উঠে আসে ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, তীর হারা ওই ঢেউয়ের সাগর’ এবং ‘আমরা করবো জয়’। পরিবেশনায় অংশ নেয়-মৃত্তিকা, অরিন্দম, ওরিশা, সুকৃতি, নিভু, নবনিতা, প্রজ্ঞা, শ্রীনন্দা, উন্মেষ, অরণ্য, নিঝুম, অংকিতা, তুষ্টি, অগ্নিলা, হুমাইরা, স্বত্যজী, সৌম্য, সালসাবিল, পরমা, চৈতি, সোহান, ইন্দ্রনীল, শ্রীনন্দা, ঋজু, প্রজ্ঞা, মৃত্তিকা, চৈতি, তুষ্টি, ত্রিবেণী,জয়িতা,নিশা, জান্নাতুল, রিত্তিকা, ইসমাত, পুষ্পিতা, জান্নাতুল প্রমুখ। যন্দ্রসংগীতে সহযোগিতা করেন তবলা- সৈকত চৌধুরী, কীবোর্ড -সৃজন রায়, গীটার- সুচয়ন দে এবং অক্টোপ্যাডে- কুশলব শীল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুবর্ণা চৌধুরী ও গৌতম চৌধুরী।