স্বাধীন বাংলা ডেস্ক টানা পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের বিপরীতে নিজেকে নির্যাতিত হিসেবে উপস্থাপন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সহানুভূতি আদায়েও সচেষ্ট ইউক্রেন। তবে এবার কিয়েভের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় আবাসিক এলাকায় সেনা মোতায়েন করে বেসামরিক নাগরিকদের বিপদে ফেলার জন্য ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) প্রকাশিত অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টির কর্মীরা গত এপ্রিল মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে জোরালো লড়াই চলছে এমন বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় সংস্থাটির কর্মীরা কিছু জনবহুল আবাসিক এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ‘ঘাঁটি স্থাপন এবং অস্ত্র ব্যবস্থাপনা পরিচালনা’ করতে দেখেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ডকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী জনবহুল এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলে আমরা নথিভুক্ত করেছি।
এটি যুদ্ধের আইনের লঙ্ঘন এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।’ তাই ইউক্রেনীয় বাহিনীকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে অবস্থান করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অথবা সব বেসামরিক নাগরিককে প্রথমে ওই এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নিতে ইউক্রেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ক্যালামার্ড।
অবশ্য অ্যামনেস্টির এই রিপোর্টের পরই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সাধারণ ক্ষমা’ করার চেষ্টা করছে। মূলত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ শব্দটি তিনি প্রায়শই রাশিয়ার জন্য ব্যবহার করেন।