ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল খলিল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃ*ত্যুর অভিযোগ
18, March, 2023, 5:41:52:PM
হালিমা খানম, স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল খলিল বেসরকারি হাসপাতালে নাকের পলিপাসের অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, নিহত ইসতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২) সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের ওই হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে নিহতের স্বজনরা। তারা এসময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিহতের পরিবার ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নাকের সমস্যা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জেল রোডে আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন ইকরাম। বিকেল তিনটার সময় হাসপাতালের সার্জন ডাক্তার মো. রাফিউল আলম ও এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ শক্তির তত্ত্বাবধানে তার নাকের পলিপাস অপারেশন করা হয়।
এরপর তাকে আশঙ্কাজনক ও অচেতন অবস্থায় বেডে নেওয়া হলে রোগীর করুণ অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করেন।এনেস্থিসিয়া বেশি দেওয়ায় রোগীর জ্ঞান না ফেরায় হাসপাতালের লোকজন পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ইকরামকে শহরের আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে পালিয়ে যায়। সেখানে শনিবার সকালে অচেতন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক্তার রাফিউল আলম কে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। এতে আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান খলিলুর বশির মানিক, হাসপাতালের সার্জন ডাক্তার মো. রাফিউল আলম ও এনেস্থিসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ শক্তি সহ আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে আসামি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।