চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২য় দফার বিশেষ লকডাউনেও সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী
5, June, 2021, 4:31:18:PM
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কঠোর লকডাউনের আজ ১২ম দিন এবং ২য় দফা ৭দিন লকডাউনের ৫ম দিন চলছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯৪টি। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর শনাক্ত হয়েছেন ১০৭জন। যা শতকরা প্রায় ৫৫%। ২য় দফা লকডাউন চলাকালেও করোনার সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। প্রথম দফা লকডাউনে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৩৪% এ নেমে এসেছিলো। বৃহস্পতিবার (৩জুন) সংক্রমণের হার ছিলো প্রায় ৪৩%। শুক্রবার (৪জুন) সংক্রমণের হার ছিলো প্রায় ৪২% এবং শনিবার (৫জুন) সংক্রমণের হার প্রায় ৫৫%। কঠোর লাকডাউন চলাকালে সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় আতংকিত সচেতন মহল।
প্রথম দফা লকডাউনে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় জেলায় সংক্রমণের হার নিম্নমুখীই ছিলো। জেলায় শহরে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন। তবে গ্রামাঞ্চলের মানুষ সঠিকভাবে মানছে না লকডাউন বা সরকারী নির্দেশনা। মফস্বলে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকরে মাঠে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। লকাডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছে জনপ্রতিনিধি ও গ্রামপুলিশও। জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। লকডাউনে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস ও ট্রেনসহ যানবাহন বন্ধ রয়েছে। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। আম বাজারজাতকরণ ও রপ্তানী কার্যক্রম লকডাউনের আওতামুক্ত রেখে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগর। সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী শনিবার সকালে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১৮১ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২৩৪৭ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় মারা গেছে মোট ৫৪জন। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯৪টি, করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১০৭জন। যা শতকরা প্রায় ৫৫%। দ্বিতীয় দফা লকডাউন চলাকালেও করোনা সংক্রমন কিছুটা উর্ধ্বমুখী। ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে মোট ৯৪জন। এর মধ্যে ২৪জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১২৯জন রোগী। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মঞ্জুরুল হাফিজ গত ৩১মে দুপুরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে আরও ৭দিন লকডাউন বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।