স্টাফ রিপোর্টার : অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আগামী ৪ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ কথা জানান ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আসনের ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সব কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে নতুন কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রয়োজন পড়বে না। এক্ষেত্রে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন, তারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকেই প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানান, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই গাইবান্ধার উপনির্বাচন হবে। আগের নির্বাচনের দোষী কেউ নতুন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন না। ওই এলাকা থেকে সম্ভব না হলে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা, তাও সম্ভব না হলে দেশের যেকোনো স্থান থেকেই প্রিসাইডিং অফিসার আনা হবে।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এ ছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ এসআই, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এই শাস্তি বাস্তবায়ন করে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আগামী এক মাসের মধ্যে অবহিত করার নির্দেশও দেয় নির্বাচন কমিশন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এই দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসনটি গঠিত। এতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ভোটার এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।