বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামসহ অন্যান্য অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল বারকাত বলেন, আমাদের বাজেট সম্প্রসারণমূলক। সরকার আগামী অর্থ বছরে যে বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, তার আকার ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে আমাদের বাজেট সরকারের চেয়ে ২ দশমিক ৭ গুণ বড়। উন্নয়ন এবং পরিচালন ব্যয় মিলে এই বাজেটের আকার ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা বর্তমান বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড়।
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, লাগামহীন কর্মবাজার সংকোচন, মহামারি ও ইউরোপ যুদ্ধের অভিঘাতে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের চাপে আছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে পূর্ণ কর্ম নিয়োজন, শিশুর জন্য সুস্থ জীবন, সবার জন্য আবাসন, মূল্যস্ফীতি রোধ—এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বেশি সংখ্যক মানুষ বহুমাত্রিক দরিদ্র। ধনী ও অতি ধনীর সংখ্যা ১ শতাংশ। বহুমাত্রিক দরিদ্রের সংখ্যা কোভিডকালের চেয়েও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি না বাড়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সঞ্চয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৬৪টি জেলা, ১৩৫টি উপজেলা এবং ৪৫টি ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।