আড়তের পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, তারা জানায় গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। একদিনের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দাম বেড়ে যায়। আবার ১ থেকে ২ দিনের ব্যবধানে কমে গেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু পেঁয়াজের দাম কমার পিছনে সব চেয়ে বড় কারণে হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ।
তারা বলেন, বাজারে প্রচুর মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠেছে। যার ফলে পুরাতন পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। সবাই এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকছে। এছাড়াও এলসি পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ) বর্তমানে সব চেয়ে কম বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তারা।
বাইপাইল পাইকারি আড়তের বিক্রেতা তাজব আলী বলেন, আজকে আমরা প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪১০ টাকা করে বিক্রি করছি। সে হিসেবে প্রতি কেজি ৮২ টাকা করে পড়ছে। আগামীকাল আরও কমতে পারে।
ভাই ভাই বাণিজ্যালয়ের বিক্রয় প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ২/৩ দিন ধরে সব চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম কম থাকায় বিক্রিও বেশি হচ্ছে। আজ আমরা ৪০০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছি। যা গতকাল ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা পাল্লা ছিল। প্রতিদিনই দাম কমে যাচ্ছে। সেই হিসেবে আগামী ২/৩ দিনে কেজিতে আরও ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে যেতে পারে।
খুচরা বাজারে আজকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ধরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানান কয়েকজন খুচরা বিক্রেতারা।
অন্যদিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম বাজারের অন্য পেঁয়াজের তুলনায় কম থাকায় ক্রেতারা এই পেঁয়াজ বেশি ক্রয় করছেন বলে জানান কয়েকজন ক্রেতা। তবে এই পেঁয়াজ ক্রেতাদের মধ্যে নিম্নআয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি।
প্রসঙ্গত যে, কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হবে প্রায় ৫০ হাজার টন। এই মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন নতুন পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তোলা ও বাজারে আসা শুরু হয়েছে এবং বাজারে থাকবে ৩ থেকে সাড়ে তিন মাস।