টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারা বাড়িতে এসডিএস এর জমির সংক্রান্ত পাল্টাপাল্টি মামলার দ্বন্দ্বে কোর্টের নির্দেশে সহকারি কমিশনারের প্রতিনিধিগণ জমির ভোগদখল মালিককে শনাক্ত করতে সরজমিনে তদন্ত করেন। গত ৩০ এপ্রিল ঘটনাস্থানে গিয়ে তারা তদন্ত করে যান।

সদর উপজেলার গদুরগাদি মৌজায় ১৯৮ শতাংশ এবং পোড়াবাড়ি মৌজায় ৮০০ শতাংশ জায়গা সাবকবালা দলিল মূলে আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক মালিক হন। যার মধ্য ২৮৬ শতাংশ জমি খারিজ করা। উক্ত সকল জমির সাব কবালার দলিল নং-৭০৮ তাং ২৬/১/২০১৫ অপরটি সাবকবালা দলিল নং-২১০, তাং ০৮/১/২০১৭। দুই দলিল মূলে ৯৯৮ শতাংশ ভূমি ভোগদখল করে আসছেন।

ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন সিরাজী দীর্ঘদিন জেলখানায় থাকায় এবং এসডিএস প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর থেকেই এই সম্পত্তি নিয়ে উচ্চ মহলকে ব্যবহার করে, এলাকার গরীব মানুষসহ জোদদার/ভূমি মালিক-চাকলাদার পরিবারকে ও নিঃস্ব করে দিয়েছে এলডিএস নামক কথিত কোম্পানিটি। নিজেদের মালিকানা জায়গা জমি নিয়েই রয়েছে নানান প্রশ্ন, মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাট করে, হাজার হাজার ডিসিমেল জমি অবৈধভাবে বেদখল, মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে যত্রতত্র কাগজপত্র তৈরি করার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী পরিবার। অন্যদিকে ইসমাইল হোসেন সিরাজী ও তার আত্মীয় নুরুল ইসলাম সহ ৫/৭ সদস্য কমিটির মাধ্যমে নাজমুল হোসেনকে পাওয়ার অফ এটর্নি করে দিয়েছে। যার সূত্রধরে পাল্টাপাল্টি এত মামলা-মোকদ্দমা।

ভূমি দখল ও সনাক্তকরণ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন এবং দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, মেম্বার বাবুল, মেম্বার আবু সাঈদ ও এলাকার হিতোষী গণ্যমান্য মাতব্বরগণ। ভূমি দখল সনাক্ত করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিনিধি যথাক্রমে ফতেহপুর ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা ( নায়েব) ফজলুল করিম, দেওজান (ভূমি) অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) আব্দুর সাত্তার এবং সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ার উপস্থিত ছিলেন।

উপরোক্ত ভূমির পক্ষ-বিপক্ষের অভিযোগের আলোকে জানা যায়, মোজাম্মেল হক ৯৯৮ শতাংশ ভূমি সাবকবালার দলিলমূলে ও এসডিএস ও ইসলামী রিসার্চ সেন্টার, এগ্রো ফিসারী চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত দলিল মূলে আলহাজ মোজাম্মেল হক মালিকানা ও দখল তবিয়তে বহাল রয়েছেন। অন্যদিকে ইসমাইল হোসেন সিরাজী এসডিএস এর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নাজমুল হোসেনের নামে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি করে দেন বলে জানাযায়। এ বিষয়ে মোজাম্মেল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাফলা ও দলিল মূলে আমি সম্পত্তির মালিক ও দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছি। অহেতুক আমার কাজে বাধা দিয়ে আমার লোকজনকে পুলিশ দিয়ে ধরে নেওয়া, জেলে পাঠিয়ে নানান ধরনের ষড়যন্ত্র ও হয়রানি করছে।