শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরে এক রাতে ৮ দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে শহরের বিভিন্ন দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের উকিল বাড়ী রোডের ওয়াটার লিলি ফুড স্টোর, সোনামিয়া রোডের দেবনাথ মেডিকেল হল, রুপসপুর দূর্গাবাড়ী সড়কের প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোর, আর কে মিশন রোডের সি লেডিস টেইলার্স, কলেজ রোডের ছাদ ভ্যারাইটিজ স্টোর, পূরবী স্টোর, আয়ুস ডিজিটাল স্টুডিও ও সুহাসিনী ফার্মেসীতে এই চুরি সংঘটিত হয়। চুরির ঘটনায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ’ দোকানগুলো পরিদর্শন করেছেন। শহরের কলেজ রোডের ছাদ ভ্যারাইটিজ স্টোর এর মালিক মো. তুহিন চৌধুরী বলেন,‘ প্রতিদিনের মতো রাত ৯টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আমার পাশের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়েছে এমন একটি সংবাদ পেয়ে দোকান খুলে দেখি আমার দোকানটাও চুরি হয়েছে। চোরেরা ক্যাশ থেকে নগদ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে’। রুপসপুর দূর্গাবাড়ী প্রীতি এন্ড প্রিয়া ভেরাইটিজ স্টোরের প্রোপ্রাইটর লিটন দেব বলেন, ‘এই দোকানের উপর আমার সংসার নির্ভরশীল। চোরেরা দোকানের সার্টার ভেঙ্গে ক্যাশ থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে’।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘শহরে একরাতে ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘চুরি আতংক’ বিরাজ করছে। দোকানগুলোতে চুরির ঘটনায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’ বলে তিনি জানান।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল একটি শান্ত শহর। হঠাৎ করে এই শান্ত শহর কেন অশান্ত হয়ে উঠলো? ঘুমিয়ে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা কিভাবে আবার জেগে উঠলো?
এক রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমন গণ চুরির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) নয়ন কারকুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোর সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব সিসি ফুটেজ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে খুব শিঘ্রই দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।