জিমিরিগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কাকাইলছেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রিপেইড ভলান্টিয়ার (আয়া) মায়া রানীর অপচিকিৎসায় বৃষ্টি আক্তার নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে মায়া রাণীর অপচিকিৎসায় দুই প্রসুতি এবং এক নবজাতকের মৃত্যর অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জের মৃগা ইউনিয়নের ওয়ারা গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারকে সন্তান প্রসব করানোর জন্য কাকাইলছেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মায়া রাণীর ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যান তার স্বজনরা। সন্তান প্রসবের পর বৃষ্টি আক্তারের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে কৌশলে বৃষ্টির স্বজনদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন মায়া রাণী। হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বৃষ্টি আক্তার।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে সন্তান প্রসব করানোর সময় অপচিকিৎসার কারণে প্রথমে নবজাতক মারা যায়। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে একই কৌশলে তাসলিমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন মায়া রাণী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত তিনটায় তাসলিমা মারা যান।
এ বিষয়ে বৃষ্টি আক্তারের ভাই কামাল মিয়া জানান, বোনের সন্তান প্রসবের জন্য আমরা মায়া রাণীর কাছে নিয়ে যাই। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে আমরা বৃষ্টিকে হবিগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বৃষ্টি মারা যায়।
এ বিষয়ে মায়া রাণীর ব্যবহৃত মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রসব করাননি বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন বলেন, এভাবে প্রসব করানোটা সম্পুর্ণ বেআইনি। আমাদের প্রতিটি ইউনিয়ন সাব সেন্টারে প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।