বুবরাজান-নোয়াঁগাওকে বিশ্বনাথ পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদ প্রবাসী নেতা মল্লিকের
18, January, 2022, 10:30:26:PM
বিশ্বনাথ(সিলেট) প্রতিনিধি:
বিশ্বনাথের যুক্তরাজ্য প্রবাসী, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা ও অলংকারি ইউনিয়ন ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ইউকে’র সভাপতি এম এ মল্লিক আহমদ এক বার্তায় প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বিশ্বনাথের পৌরসভা গঠন হয়েছে মৌজা ভিত্তিক।
২০২০ সালে ২২টি মৌজা নিয়ে সরকারি একটি গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামধানা গ্রামটি ৪টি মৌজা নিয়ে গঠিত। এ গুলো হলো- কামালপুর মৌজা, ভাগমতপুর মৌজা, ববরাজান মৌজা ও নোয়াঁগাও মৌজা।
এ চারটি মৌজার মধ্যে কামালপুর মৌজা ও ভাগমতপুর মৌজা ২২টির সাথের প্রকাশিত সরকারি গেজেটের অন্তর্ভূক্ত। বুবরাজান মৌজা এবং নোয়াগাঁও মৌজাকে পৌরসভায় গেজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
এম এ মল্লিক আহমেদ প্রশ্ন উত্তাপন করে বলেন, একটি কুচক্রীমহল হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড শ্রেণী বিন্যাসের সময় কেন বুবরাজান ও নোয়াঁগাও মৌজাকে ওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত করলেন না?
প্রবাসী প্রভাবশালী এ আওয়ামী লীগ নেতা জানান, বিশ্বনাথের তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (সাবেক) বর্ণালী পাল ও বিশ্বনাথ ভূমি কর্মকর্তা (সাবেক) কামারুজ্জামানকে এ অভিযোগটি একাধিকবার অবগত করার পরও কিন্তু এই বিষয়টির প্রতি তাঁরা কোন দৃষ্টিপাত করেননি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ভূমি অফিসার কামরুজ্জামান অর্থ ও চক্রান্তকারী মহলের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।
এ নীল নকশার বাস্তবায়নকারী সুবিধা পিপাশু সাবেক ভূমি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিশ্বনাথে চরম বির্তকিত ছিলেন। বিশ্বনাথের হাওর, নদী ও জলাশয় সহ বিভিন্ন মৌজার ভূমি বিন্যাসে তার অযোগ্যতা প্রমাণিত।
সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে ছিলেন, সরকারি এই গেজেটের ২২টি মৌজার পর আর একটি মৌজাও বিশ্বনাথ পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত করা হবেনা।
এম এ মল্লিক আহমেদ জানতে চান, তাহলে কেন বুবরাজান ও নোয়াগাঁও মৌজাকে বিশ্বনাথ পৌরসভায় অন্তর্ভক্ত করা হলো? রামধানার বুবরাজানও নোয়াঁগাও মৌজা বিশ্বনাথের পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করা চরম বেআইনি। সরকারি আইনের বিধান লঙ্ঘন করে একটি স্বার্থবাদী মহল এই পাঁয়তারা করছে বলে জানান।
মল্লিক বলেন, আমি রামধানা গ্রামের বুবরাজান মৌজার একজন অধিবাসী। আমার পিতা মরহুম সরফরাজ আলী (ছফা মিয়া) ছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ছিলেন মুজিব আর্দশে সৈনিক। আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ। আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগ আর পরিষদের চেয়ারম্যান বির্তকিত বিএনপি নেতা। তাই তিনি কারসাজির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য অলংকারি ইউনিয়নের সীমানা থেকে আমাদেরকে বাহির করতে চান! তিনি ক্ষমতা দীর্ঘ মেয়াদী করতে ধান্ধায় লিপ্ত। কিন্তু আমি এটা করতে দেবনা, আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছি ।
এম এ মল্লিক জানান, অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল সাবেক বিএনপি নেতা। তিনি আগামী অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের ও বিশ্বনাথ পৌরসভার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, সেই লক্ষ নিয়েই তিনি চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি বলেন, নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান হিসাবে অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন, যার প্রমাণ পিঠাকরা গ্রামে মাজার বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ইসলামী রাজনৈতিক আকিদা অনুসারী ভদ্র আলতাব মেম্বারকে হেঁয় করা সহ নিজ দল বিএনপির হাই কমান্ডকে তুচ্ছতা, তামাশার ছলে বিভিন্ন সময়ে কটুক্তি করেন। এ ছাড়া নিজে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার সত্বেও ইউনিয়নের মধ্যে কতটি মৌজা রয়েছে তা তিনি সঠিকভাবে জানেন না! ইউনিয়ন পরিচালনায় তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন একাধিকবার।
এম এ মল্লিক বলেন, আমি অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের একজন অধিবাসী এবং এই ইউনিয়নে আমি থাকতে চাই, তাই রামধানার ববরাজান ও নোয়াগাঁও মৌজাকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই অলংকারি ইউনিয়নে যে, ভাবেই রাখা যায়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্মারক লিপি প্রেরণ করেন।