জীবনশৈলী ডেস্ক : ডালিমে রয়েছে ভাইরাস ও টিউমার-রোধী উপাদান। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, সি এবং ই’সহ ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস। পুষ্টিগুণে আধিক্যতার কারণে আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় ডালিমের অবদান অপরিসীম। আর এই স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে অনেকেই নিয়মিত ডালিম খেয়ে থাকেন। ডালিম একটি প্রায় চর্বিমুক্ত ফল।
ডালিম দানা হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি এর জুস করেও খেতে পারেন। ডালিম খাওয়ায় রয়েছে বহু উপকারিতা। বাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বেদানা। তরুণাস্থির ক্ষয় রুখতেও উপকারী বেদানা। এ ছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।
তাছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য বেদানাতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। ডালিম রুচি বৃদ্ধি করে, কোষ্টকাঠিন্য রোধ করে। বেদানাতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। এ ছাড়া এটি ফাংগাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধেও ভূমিকা রাখে। ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। আর এ কারণে এটি অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগীদের জন্যও উপকারি।
আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। এতে অ্যানেমিয়া ও রক্তের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকার কারণে ডালিম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ফলে স্ট্রেস এবং টেনশন কমে, হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাহলে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার অভ্যাস করুন উপকার পাবেন।
ডালিম ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে গবেষণায়। ডালিম ত্বক সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, সাইট্রিক আসিড ও ট্যানিন সমৃদ্ধ বেদানা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করে।